
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের ৫ সংসদীয় আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ বছর পর নেতাকর্মীরা এখন উচ্ছ্বসিত। প্রার্থীরা এলাকায় আসার পর নতুন করে শুরু করেছেন প্রচারণা। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠে রয়েছেন এসব প্রার্থীরা।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন। তিনি নিজ উপজেলার উজানি মাদ্রাসায় মরহুম ক্বারী ইব্রাহীম (র.) এর কবর জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী কাজ শুরু করেন। কচুয়া আসলে তাকে শত শত নেতাকর্মী স্বাগত জানান।
মিলন বলেন, কচুয়াবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। যেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ড. জালাল উদ্দিন। তিনি মতলবে আসার পর নেতাকর্মীদের ফুলে ফুলে সিক্ত হন। তিনি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার আহবান জানান।
চাঁদপুর-৩ ( চাঁদপুর সদর ও হাইমচর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ। তিনি বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বাবার কবর জিয়ারত ও দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। মনোনয়ন ঘোষণার আগ থেকেই শেখ ফরিদ আহমেদ নেতাকর্মীদের সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ মনোনয়ন আপনাদের। এই মনোনয়ন মানিকের নয়, এই মনোনয়ন চাঁদপুরবাসীর। জিয়াউর রহমানের আদর্শকে আমাদের ধারণ ও লালন করতে হবে। হাইমচর বাদ দিয়ে সদর ও পৌরসভায় ৪ লাখ ১৫ হাজার ভোট। জয় পরাজয় আপনাদের হাতে। আজ থেকে চূড়ান্ত প্রচারনা শুরু।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশিদ। তিনি দুপুরে ঢাকা থেকে নির্বচানী এলাকায় আসেন। তিনি নিজ এলাকার বিভিন্ন স্থানে পথ সভায় বক্তব্য দেন। তার আগমনে উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা। তিনিও ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে সবাইকে নিয়ে কাজ করার আহবান জানান।
চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মমিনুল হক। তিনি বর্তমানে দেশের বাহিরে আছেন। তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন এমন ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত তার অনুসারী নেতাকর্মীরা।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার ৫ আসনে কয়েকমাস আগেই মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। এই দুই দলের প্রার্থীরা মাঠ পর্যায়ে গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। মূলত বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরই পুরো জেলা জুড়ে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে।