
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েছেন দুই রোহিঙ্গা নারী। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে পাসপোর্ট অফিসের দোতলায় তারা আটক হন। আটককৃতরা হলেনঃ কুতুপালং এর ২ নম্বর ক্যাম্পের ই-১১ ব্লকের বাসিন্দা সহিসু আলম এর মেয়ে সুবাইরা (১০) ও সোনা আলীর মেয়ে জুহুরা বেগম (৩৫)।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা জানান, দুইজন নারী একসাথে চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করেন। এরমধ্যে সুবাইরা পাসপোর্টের জন্য ব্যাংক ড্রাফট, আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে আসেন। সাথে ভোটার আইডির ভ্যারিফাইড কপি ও ফটোকপিও জমা দিতে সংযুক্ত করেন। যদিও ওই ভোটার আইডিটি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাজী কামতা গ্রামের রুমা আক্তারের। এসব জালিয়তির কথা স্বীকার করেন প্রতারক সুবাইরা ও জুহুরা।
সুবাইরাকে সৌদি আরব নিবে বলে এক লোক যোগাযোগ করে। সে লোকের মাধ্যমেই পাসপোর্ট এর সকল আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র জোগাড় করেন। যদিও তারা দুইজনেই দাবি করেন ওই লোককে তারা চিনেন না।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা বলেন, আসলে আবেদনের মধ্যেমে এধরণের রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হয়। যদিও চেহার ও ভাষার মাধ্যমে অনুমান করে আমরা পাসপোর্ট গ্রহিতাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করি। ওসব প্রশ্নের মাধ্যমেই এমন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, এসবি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ হওয়ায় আমরা আরো সাবধান। না হয় ফাঁকফোকর দিয়ে এসব রোহিঙ্গরা পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি এক্ষেত্রে আরো বেশি সর্তক হওয়ার।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহার মিয়া বলেন, যেহেতু তারা বৈধভাবে কুতুপালং ক্যাম্পে থাকে তাদের ওই ক্যাম্প প্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওই দুই নারী কেন ক্যাম্প থেকে বের হলো বিষয়টি নিয়ে আইনী পদক্ষেপ নিবেন ওই ক্যাম্প প্রধান। আমরা দুই নারীকে ওই ক্যাম্প প্রধানের কাছে হস্তান্তর করবো।
মন্তব্য করুন