মোঃ মাসুদ রানা, শাহরাস্তিঃ শাহরাস্তিতে ভক্তি, আনন্দ ও উৎসবের আবহে উদযাপিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্যামা পূজা ও দীপান্বিতা উৎসব-১৪৩২। এ উপলক্ষে সোমবার (২০ অক্টোবর ২০২৫) রাতে শাহরাস্তি পৌরসভার শ্রী শ্রী মেহারেশ্বরী কালীবাড়ি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল চন্দ্র ঘোষের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া হোসেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদীপ জ্বালিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চাঁদপুর তথা শাহরাস্তিতেও সেই সম্প্রীতির আবহে উৎসবটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শ্যামা পূজা ও দীপান্বিতার এই প্রদীপ প্রজ্বলন সমাজে আলো ও মঙ্গলের পথ দেখাবার প্রতিরূপ। আপনারা নির্ভয়ে, সম্প্রীতি বজায় রেখে আনন্দমুখর পরিবেশে উৎসব পালন করুন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিয়া হোসেন বলেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার এই চেতনায় শাহরাস্তিতে সকল ধর্মাবলম্বী মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে যুক্ত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে যাতে সবাই নির্বিঘ্নে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কচুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই চৌধুরী, শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাসার (পিপিএম-বার),
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শামছুল আমীন, আইসিটি অফিসার মোঃ শাহজাহান, শাহরাস্তি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু নিখিল চন্দ্র মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অমৃত মজুমদার টুটন, শ্রীশ্রী গোপাল জিউ আখড়ার সভাপতি বাবু হারাধন চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক শাওন মজুমদার, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, ভক্তবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
জানাযায়,দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্যামা পূজা তথা কালীপূজা ও দীপান্বিতা সোমবার রাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। অমাবস্যা তিথিতে দেবী কালীকে অশুভ শক্তি বিনাশ, অন্ধকার দূরীকরণ ও ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে আরাধনা করা হয়। সারারাত চলবে আরতি, ধূপ-দীপ প্রজ্জ্বলন, পাঠ, নামসংকীর্তন ও প্রসাদ বিতরণ। একই রাতে পালিত হবে দীপান্বিতা উৎসব, যেখানে অমাবস্যার অন্ধকারে আলো জ্বালানোর প্রতীকী বার্তা হিসেবে ঘরবাড়ি, মন্দির, পুকুরপাড় ও রাস্তাঘাটে অসংখ্য প্রদীপ, মোমবাতি ও বৈদ্যুতিক বাতির ঝলকানিতে সৃষ্টি হয় আলোকোজ্জ্বল উৎসবের পরিবেশ।
উল্লেখ্য, এ পূজা উপলক্ষে মেহের কালীবাড়ি বাজার মাঠে মাস ব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।