
মহসীন আলমঃ চাঁদপুর সদর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যলয় হচ্ছে মহামায়া বাজার। যা উপজেলার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক কেন্দ্র। এই বাজারটিতে ৪টি উপজেলার পাশ্ববর্তী লোকজন অর্থাৎ চাঁদপুর সদর, মতলব দক্ষিণ, হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার একাংশের লোকজন কেনাকাটা করতে আসে। ফলে দূর দূরন্ত থেকে বহু ক্রেতা বিক্রেতারা আসায় সবসময় সরগরম থাকে বাজারটি। এছাড়া বাজারটিতে স্থায়ী অস্থায়ী সহ প্রায় দেড় হাজার ছোট বড় ব্যবসায়ী ব্যবসায় করে আসছে।
সব ব্যবসায়ী ও অস্থায়ী ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য অপর্যাপ্ত পরিমান শৌচাগার থাকলেও তার অবস্থা খুবই অস্বাস্থ্যকর। প্রায় ১৫বছর আগে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় বাজারের দক্ষিণ পাশে শৌচাগার নির্মাণ করা হলেও মান সম্মত নির্মাণ কাজ করা হয়নি। এছাড়া চাঁদপুর জেলা পরিষদের অর্থায়নে মসজিদের উত্তর পাশে নির্মিত শৌচাগারটিও মানহীন। এই দুইটি স্থানে শোচাগার থাকলেও তা প্রায় সময়ই থাকে ব্যবহারের অনুপোযোগি। মানুষ তাদের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে নিরুপায় হয়ে মনের রুচির বাহিরে দম বন্ধ করে কোনমতে প্রবেশ করে বিপদমুক্ত হতে হয়। অনেক সময় টয়লেটের ভিতরে বাহিরে পানি ও ময়লা জমে পা রাখা দুস্কর হয়ে পড়ে। এছাড়া বৃষ্টির হলে ছাদে পানি জমে আটকে থাকার কারনে দীর্ঘ সময় যাবত সিলিং দিয়ে বিন্দু বিন্দু পানি মানুষের শরীরে পড়ে। যা খুবই বিব্রতকর। এসব নোংরা পরিবেশের কারনে শৌচাগার ব্যবহারকারীর অসুস্থ হতে হয়। এছাড়া বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার নিদিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় বাজারের দক্ষিণ পাশের শৌচাগারের ৩ পাশে বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার কারেন প্রতিনিয়ত দূর্গন্ধ লেগেই থাকে। এক কথায় এসব নোংরা ও দুর্গেন্ধের কারনে উক্ত টয়লেট ব্যবহার করা অনুযোগী। এব্যাপরে প্রায় প্রতিদিন বাজারে আসা একজন ক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, এই বৃহত্তম বাজারটির ব্যবসায়ীক কার্যক্রমে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়, কিন্ত টয়লেটের এই বাজে অবস্থা দেখে বাজারে আসতে মন চায় না। ব্যবসায়ীরা বলেন, এই নোংরা ও অস্বাস্থকর পরিবেশে এই টয়লেটগুলো ব্যহার করতে আমাদের আর মন চায় না। সরকার কর্তৃপক্ষ এখানে নজর দিয়ে একটা ব্যবস্থা করা জরুরি। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও শাহমাহমুদপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ বলেন, সমস্যাটির বিষয়ে অবগত আছি। শৌচাগারের এই বেহাল দশা সমাধানের জন্য আবেদন দেয়া হয়েছে।
দিকে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগীরা।