স্টাফ রিপোর্টার ঃ চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ বাজারে গরুর মাংসে হাড় বেশি দেয়াকে কেন্দ্র করে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
ক্রেতা এমদাদ হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা দিকে স্ত্রীসহ তিনি বিপনীবাগ বাজারে সোহেল নামে এক মাংস বিক্রেতার দোকান থেকে ৪ কেজি গরুর মাংস কেনেন। প্রতি কেজি মাংসের দাম ঠিক হয় ৬৫০ টাকা। কিন্তু বিক্রেতা সোহেল মাংসের সঙ্গে গোপনে প্রায় ২ কেজি চর্বি ও হাড় মিশিয়ে দেন। এ বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবাদ করেন তিনি। একপর্যায়ে সোহেল তাকে ধাক্কা দেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ এমদাদের ছেলে শাহজালাল জুয়েল এগিয়ে গেলে সাগর বকাউল নামে আরেক মাংস বিক্রেতা তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এ সময় আরও কয়েকজন মিলে লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।
হামলায় আহত আব্দুল আহাদ বলেন, আমি ক্রেতা ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে বাঁচতে গেলে হাত ও মুখে কিল-ঘুষি দিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় আব্দুর রহিম নামে আরও একজনকে ধারালো ছুরি দিয়ে পিঠে কুপিয়ে রক্তাক্ত ক্ষত সৃষ্টি করে হামলাকারীরা।
শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় নারীরাও রেহাই পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
এমদাদ হোসেনের ছেলে জুয়েল জানান, হামলার সময় তাদের পরিবারের এক নারীর গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। তার দাবি, ওই চেইনের মূল্য প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, হামলার সময় বাজারের উপস্থিত লোকজন তাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাদেরকে স্থানীয়রা চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে ঘটনায় দায় স্বীকার করে আটক মাংস বিক্রেতা সোহেলসহ অন্যরা জানান, মাংসে কিছু হাড় থাকায় ওই ক্রেতা ক্ষুব্ধ হয়ে ঝগড়ায় জড়ান। তাদের পরিবারের নারীদের টাকা বা স্বর্ণ কেউই নেয়নি এবং শরীরে হাতও দেয়নি।
এ বিষয় চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।