স্টাফ রিপোর্টার :
কচুয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কাঠালিয়া গ্রাম। প্রায় দেড় হাজার মানুষের বসবাস এই জনপদে। উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বরাবরই পিছিয়ে পড়া এই গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন যন্ত্রণার প্রধান কারণ এক দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা।
কয়েক বছর আগে নির্মিত এই রাস্তা দিয়েই শুরু হয়েছিল উন্নয়নের প্রত্যাশা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় পুরো রাস্তাটিই বেহাল হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময়ে কাদা আর গর্তে ভরা এই পথ দিয়ে চলাফেরা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়, বিশেষ করে পথচারী ও স্কুলগামী শিশুদের জন্য।
গ্রামের পশ্চিমে রয়েছে মতলব দক্ষিণ উপজেলা, আর অন্যদিকে কচুয়া উপজেলা। দুই উপজেলার মানুষই যাতায়াতের জন্য এই সংকীর্ণ ও খারাপ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। প্রতিদিনই এই রাস্তা ভেঙে পড়ার কারণে বড় ধরণের দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয় মানুষদের। বিশেষ করে অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীদের জন্য সময়মতো চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত দুই বছরে রাস্তার অনুপযুক্ততার কারণে কয়েকজন সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে জীবন হারিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা নারায়ণ চন্দ্র, সরস্বতী ও সুরবালা রানী সরকার বলেন, বষ্টি হলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব। হাঁটা যায় না, সাইকেল কিংবা ভ্যানও যেতে চায় না। স্কুলগামী বাচ্চারা কাদায় পড়ে জামাকাপড় নোংরা হয়, বই-খাতা ভিজে নষ্ট হয়। আমাদের একমাত্র আকাঙ্ক্ষা এই রাস্তা দ্রুত পাকা হোক।
দু’বছর আগে কাঠালিয়া থেকে জাগির পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হলেও তা এখন সম্পূর্ণ ভাঙাচোরা। নতুন করে পুরো রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন না হলে কোনো গাড়ি চলাচল সম্ভব নয়।
স্থানীয় শিক্ষার্থীরা নয়ন, নিলান্তর ও অর্জুন সরকার জানান, বর্ষায় আমরা স্কুল যেতে ভয় পাই। পা পিছলে গিয়ে পড়ে যাই, জামাকাপড় ভিজে যায়। আমাদের একটাই চাই, রাস্তাটি যেন দ্রুত পাকা করা হয়।
গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রতিশ্রুতি থাকলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর ফলে কাঠালিয়া আজও অবহেলার মধ্যে পড়ে আছে।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম লিটন জানান, কয়েক বছর আগে কাঠালিয়া গ্রামে কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। মানুষের দুর্ভোগ বুঝতে পেরেছি। ইতোমধ্যে রাস্তার আইডি নম্বর তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত পাকা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
প্রতিষ্ঠাতা: ইকরাম চৌধুরী<br>
প্রধান সম্পাদক : মুনির চৌধুরী<br>
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : শরীফ চৌধুরী <br>